October 5, 2025

প্রশাসনের প্রশংসনীয় উদ্যোগ: বৃদ্ধার অস্ত্রপচারের জন্য ছুটির দিনেও অফিস খুলিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: একদিকে রথযাত্রা উৎসব, অন্যদিকে বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্ম বন্ধ। তবুও দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক বৃদ্ধার অস্ত্রপচারের জন্য অফিস খুলিয়ে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম তুলে দিলেন আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক ও কর্মীরা। তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধার পরিবার। বৃদ্ধার নাম অন্নপূর্ণা ঘোষ। বয়স প্রায় ৬২ বছর। বাড়ি আরামবাগের গৌরী গ্রামে। শুক্রবার রাতে পায়ে শাড়ি জড়িয়ে তিনি পড়ে যান। এরফলে তাঁর পা ও কাঁধের হাড় ভেঙে গেছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রপচারের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি আরামবাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু অন্নপূর্ণা দেবীদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল নয়। জমি জায়গাও বিশেষ কিছু নেই। ছেলে দীপায়ন একটি গুমটিতে কাপড় বিক্রি করে কোন রকমের সংসার চালান।  ছেলে-বৌমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও তাতে অন্নপূর্ণাদেবীর নাম ছিল না।  তাই তিনি বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের মাধ্যমে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝিকে জানান। দীপকবাবু রাতারাতি আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছেলে ও বৌমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অন্নপূর্ণাদেবীর নাম তোলার ব্যবস্থা করে দেন। শুক্রবার ছুটির দিনেও মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক ও কর্মীরা উপস্থিত থেকে তড়িঘড়ি ওই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড অন্নপূর্ণাদেবীর বৌমা শুক্লা ঘোষের হাতে তুলে দিলেন। এ বিষয়ে আরামবাগ মহকুমা অফিসের কর্মী অপর্ণা দিগপতি বলেন, ছুটির দিনে বাড়িতে থাকতে সবারই ভাল লাগে। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে কাজ করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। অন্যদিকে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝি বলেন, উৎসবের দিনে আমরা সকলেই আনন্দ করছি। অথচ একজন বৃদ্ধা ভাঙা পা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাই তাঁর জন্য মহকুমা প্রশাসনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মীরা ছুটে এসে কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে মা-মাটি-সরকারের প্রশাসনের এইটাই বৈশিষ্ট্য।

Loading