সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: অভাবের সংসারে মুশকিল আসান হয়ে উঠল রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্প। ঘটনাটি আরামবাগের পূর্ব কেশবপুরের। পেশায় ক্ষুদ্র চাষি ইমতিয়াজ মল্লিকের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও বোনকে নিয়ে ৬ জনের সংসার। একেবারেই অভাবে মধ্যে দিন কাটে। মায়ের ওষুধ খরচ আর ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা। যা উপার্জন এতেই শেষ। সঞ্চয় বলতে কিছুই নেই। তাই মেয়ের বিয়ে ঠিক করেও সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন। আর তখনই ওই প্রত্যন্ত চাষী ইমতিয়াজ মল্লিকের কাছে আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্য সরকারের ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা। এই প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা পেয়ে মহাআনন্দে তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। রবিবার দুপুরে মেয়ে জেনিমা মল্লিকের সঙ্গে খানাকুলের কাছড়ার বাসিন্দা আকিব মণ্ডলের বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল। ইমতিয়াজের বাড়ি আরামবাগের পূর্ব কেশবপুরে। মেয়ে জেনিমা স্থানীয় কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ইমতিয়াজ জানান, চাষের জমি থেকে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে মেয়ের বিয়ে ভালোভাবে করা যেত না। তাই মেয়ে ৬ জানুয়ারি ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করে। ২১ জানুয়ারি সেই টাকা ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে গেছে। এই ঘটনায় আমরা ভীষণ খুশি। এই টাকা পাওয়ার জন্য আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। ভালোভাবে আয়োজন করে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছি। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে অনেক ধন্যবাদ। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শাহ মহম্মদ রফিক বলেন, এই পরিবার খুবই গরীব। আর্থিক কারণে জন্য মেয়ের বিয়ে দিতে সমস্যায় পড়েছিলেন। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা জন্য তাঁরা আবেদন করেছিলেন। সেই টাকা পেয়ে তাঁদের অনেকটাই সমস্যা দূর হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সমস্ত প্রকল্প যে গরিব মানুষের ক্ষেত্রে কতটা উপকারে লাগে তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য