সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতে পেয়ে মেয়ের বিয়েতে ভালো হয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারলেন এক গরিব পরিবার । বাবা কলকাতায় একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। হাজার ছয়েক টাকা বেতন পান। জমিজমা কিছুই নেই। তাই বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় আরামবাগের বাতানাল গ্রাম পঞ্চায়েতের চকহাজি গ্রামের বাসিন্দা মুন্সি আজিমুর রহমানকে। এদিকে মেয়ের বিয়েও ঠিক করে ফেলেছিলেন। কিন্তু কিভাবে যে সেই কাজ উদ্ধার হবে ভেবে পাচ্ছিলেন না। মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাই সে আরামবাগ বিডিও অফিসে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করেছিল। বিয়ের আগেই সুমাইয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা ঢুকে যায়। এই ঘটনায় খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে তাদের পরিবারে। এরপর ভালোভাবে বিয়ের আয়োজন করেন আজিমুর সাহেব। রবিবার দুপুরে ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। পশ্চিম মেদিনীপুরের মাহাবুলা গ্রামের বাসিন্দা তাফাজ্জুল ইসলাম খানের সঙ্গে সুমাইয়ার বিয়ে ভালভাবেই সম্পন্ন হয়।
এ প্রসঙ্গে আরামবাগ বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, বিরোধীরা তো সবসময় এইসব প্রকল্পগুলোকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে চলেছে। কিন্তু গরিব মানুষের যে কত বড় উপকার হচ্ছে তারা জানেও না, জানতেও চাই না। গরিব মানুষদের কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন। সাধারণ মানুষ বোঝেন এই সমস্ত প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা। তাই তাঁরা সবসময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশে আছেন। এ বিষয়ে সুমাইয়ার বাবা আজিমুর রহমান বলেন, বৃদ্ধ বাবার নার্ভের সমস্যা রয়েছে। তাই তার জন্য অনেক টাকার ওষুধ লাগে। এছাড়া ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ রয়েছে। শুধু আমার উপার্জন দিয়ে ভালভাবে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান করা সম্ভব ছিল না। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাবার আশায় ছিলাম। সেই অনুযায়ী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলাম। বিয়ের আগেই সেই টাকা পৌঁছে যায়। ভীষণ উপকার হয়েছে। এর জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি