সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: জীবন যে কখন কাকে কোন দিকে নিয়ে যায়, তা আর কে বলতে পারে! এই যেমন ইটালির জিউলিয়া মানকার কথাই ধরা যাক। বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছুটির মেজাজে কয়েকটা দিন নিজের সঙ্গে কাটাতে চেয়েছিলেন। আর সেই বেড়ানোর জায়গাতে গিয়েই এক মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে ফেললেন নিজেকে।ইটালির পিয়ানোসা দ্বীপে কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেন জিউলিয়া। সেই জায়গা তাঁর হৃদয়কে এতটাই নাড়িয়ে দিল যে, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার কথা মাথা থেকেই বার করে দিলেন। তার পর থেকে সেখানেই পাকাপাকি ভাবে থাকা শুরু করলেন।ভূতুড়ে দ্বীপও বলা হয়ে থাকে এই পিয়ানোসাকে। জানলে আশ্চর্য হবেন যে, জিউলিয়াই একমাত্র মহিলা, যিনি ওই দ্বীপে রয়েছেন। অর্থাৎ, সেখানে আর কোনও মহিলা বাসিন্দা নেই।সেটা ২০১১। সে বছর নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য পিয়ানোসাকে বেছে নিয়েছিলেন জিউলিয়া। পিয়ানোসা এমন একটা দ্বীপ, যেখানে অতীতে ইটালির বন্দিদের রাখা হত।ওই দ্বীপে একটাই মাত্র হোটেল রয়েছে। যার নাম ‘হোটেল মিলেনা’। ২০১১ সালে পিয়ানোসা গিয়ে ওই হোটেলেই উঠেছিলেন জিউলিয়া।ওই হোটেলের সব কর্মীই দাগি অপরাধী। জেলের ওই আসামিরাই হোটেলের দেখভাল করেন। বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর প্রচেষ্টাতেই ওই হোটেলে আসামিদের নানা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলে তাঁদের পুনর্বাসন কেন্দ্র।বেড়াতে গিয়ে এমন কাণ্ড দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন জিউলিয়া। জীবনে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হয়েছে ওই অপরাধীদের। এই ভাবনাটা আকৃষ্ট করেছিল তাঁকে। আর তার পরই সেখানে পাকাপাকি ভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।
More Stories
আমেরিকার শাটডাউন ও তার ছায়া: ভারতীয় অর্থনীতি ও প্রবাসীদের জন্য কী বার্তা?
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দিলেন নেপালের সুশীলা কার্কি
হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু