সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় তেমন ভিড় চোখে পড়ল না। আরামবাগ মহকুমার প্রায় সর্বত্রই হাট-বাজার ফাঁকা। এমনকি গত বছরও করোনা পরিস্থিতি চলাকালীন ঈদের কেনাকাটায় দোকান বাজারে যে ভিড় ছিল এবার সেটুকুও উধাও। এমনিতেই চলছে আংশিক লকডাউন। এর ফলে সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকছে। তবুও সেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেও বৃহস্পতিবার দেখা গেল বেশিরভাগ দোকানই ফাঁকা। লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে। আরামবাগ শহরের মিঞাপাড়ায় জাহাঙ্গীর চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে সিমুই-এর ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৪৫-৫০ বছরের পুরনো ব্যবসা। কোনদিন ঈদের আগে এত খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। গত বছর করোনার মধ্যেও কেনাকাটা হয়েছিল। কিন্তু এবার একেবারেই কম। আসলে দীর্ঘদিন মানুষের হাতে তেমনভাবে টাকা-পয়সা নেই। তাই উৎসবের যে উচ্ছ্বাস সেটা অনেক কমে গেছে। যারা ৫ কেজি কিনতো এবার তারা এক-দু কেজি কিনছে। অথচ দাম একই আছে। কিন্তু বিক্রি একেবারে কমে গেছে। আরামবাগ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পিসি সেন রোডে রেডিমেড পোশাকের দোকান আছে সেখ হাফিজুলের। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তাছাড়া উৎপাদনও অনেক কম। তাই কেনাকাটাও অনেকটা কমেছে। তবুও যা আশা করেছিলাম মোটামুটি ব্যবসা হয়েছে। কিন্তু গতবছরের তুলনায় তা অনেকটাই কম। আরামবাগ থানার সামনে দীর্ঘদিন ধরেই ফলের দোকান চালান সুরজ রাহা। তিনি বলেন, মোটামুটি বিক্রি হয়েছে এবার কিন্তু যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। মানুষ কি করে কিনবে? গত বছরের তুলনায় আপেল, আঙ্গুর, কলা সমস্ত কিছুর দাম প্রায় দেড় থেকে দ্বিগুণ বেড়েছে। তবুও যেটুকু বিক্রি হয়েছে সেটুকুই ভাল। তার ওপর আংশিক লকডাউন চলছে। মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন কম। স্বাভাবিকভাবেই বিক্রি কমেছে। এদিন শুধু আরামবাগ শহর নয়, এদিন মহকুমার বিভিন্ন ছোট খাটো বাজারগুলোতেও দেখা গেল ঈদের আগের সেই চেনা ছবি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। দোকানপাট খোলা থাকলেও লোকজন নেই।করোনার জেরে সবকিছু যেন ওলটপালট হয়ে গেছে।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি