October 6, 2025

আরামবাগ থানার আইসি তৎপরতায় পরীক্ষা দিতে পারল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: পারিবারিক অশান্তির জেরে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর এ্যাডমিট কার্ড বাড়িতে তালা বন্ধ করে রেখে দিয়েছিল পরিবারের লোকেরা। তাই তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের তৎপরতায় একেবারে শেষ মুহূর্তে পরীক্ষায় বসতে পারল ওই ছাত্রী। ওই ছাত্রীর নাম রূপসা রুইদাস। তার বাড়ি আরামবাগের বলাইচক গ্রামে। সে আরামবাগের ধামসা পিসি সেন ইনস্টিটিউশন থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। তার পরীক্ষাকেন্দ্র আরামবাগের জয়রামপুর নেতাজি হাইস্কুল। রূপসার মামাতো দাদু সুকুমার রুইদাস জানান,  ছ-সাত মাস আগে রূপসার বাবা মারা যান। এরপর গত মঙ্গলবার রূপসার মা আবার দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। বিয়ের পর রূপসা ও তার ভাই মায়ের সঙ্গে মায়ের নতুন শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়। এই নিয়ে রূপসার দাদু-ঠাকুমা ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে তীব্র অশান্তি শুরু হয়। কারণ রূপসার মায়ের ওই দ্বিতীয় বিয়ে তাঁরা মেনে নিতে পারছিলেন না। এদিকে রূপসার মাধ্যমিক পরীক্ষার এ্যাডমিট কার্ড ও পড়াশোনার অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বলাইচক গ্রামের বাড়িতে রয়ে যায়। রবিবার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে রূপসা বলাইচকের বাড়িতে সেগুলি আনতে গিয়েছিল। কিন্তু তারা দেখে বাড়ির অন্যান্যরা সেগুলি তালা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে এবং সেই সমস্ত জিনিসপত্র তারা দিতে অস্বীকার করে। উল্টে তাদেরকে নাকি মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরই রূপসা সোমবার সকালে আরামবাগ থানার দ্বারস্থ হয়। সমস্ত বিষয়টি জানার পর আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ সঙ্গে সঙ্গে বলাইচকের বাড়ি থেকে এ্যাডমিট কার্ড আনার ব্যবস্থা করেন। পুলিশ গিয়ে ওই এ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে রূপসার হাতে তুলে দেয়। এরপর পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই আরামবাগ থানার পুলিশ জয়রামপুর পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। এই ঘটনায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে রূপসা। একটা বছর পড়াশোনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে সে বেঁচে যায়। রূপসা বলে, এর জন্য আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ ও অন্যান্য পুলিশকর্মীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাঁরা যেভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন তা কখনই ভোলা যাবে না। এ বিষয়ে আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মন্ডল বলেন, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই ছাত্রীর এ্যাডমিট কার্ড আটকে রেখে দেওয়া হয়েছিল। আর তা জানতে পেরে পুলিশ যথাসময়ে তা উদ্ধার করে ওই ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে।

Loading